বিসিএস/চাকরির প্রস্তুতি: গণিত পাঠ-১ (জ্যামিতি)
১. জ্যামিতির ধারণা:
'জ্যা' অর্থ ভূমি এবং 'মিতি' অর্থ পরিমাপ। প্রাচীন মিশরে ভূমি জরিপের কাজে প্রথম জ্যামিতিক ধ্যান-ধারণা ব্যবহৃত হয়। গ্রিক পন্ডিত ইউক্লিড তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'এলিমেন্টস'(Elements) এ জ্যামিতির ধ্যানধারণা তুলে ধরেন। 13 খন্ডের এই গ্রন্থটি আধুনিক জ্যামিতির ভিত্তিস্বরূপ।
ঘনবস্ত:
ঘনবস্তুর ত্রিমাত্রিক। কেননা এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ,উচ্চতা আছে। যেমন ,ইট
[ গোলক ও ত্রিমাত্রিক]
তল:
ঘনবস্তুর উপরিভাগ তল নির্দেশ করে। তল দ্বিমাত্রিক। এর দৈর্ঘ্য ,প্রস্থ আছে কিন্তু নেই উচ্চতা নেই। ঘনবস্তুর ছয়টি তল রয়েছে।
রেখা:
বিন্দু চলার পথকে রেখা বলে। অন্যভাবে, দুটি তল পরস্পরকে ছেদ করলে সেখানে রেখা উৎপন্ন হয়। রেখা একমাত্রিক। কেননা শুধু দৈর্ঘ্য আছে।
লক্ষণীয়-
- রেখার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই
- রেখাংশের দুইটি প্রান্ত বিন্দু থাকে
- রশ্মির একটি মাত্র প্রান্ত বিন্দু থাকে
বিন্দু:
দুটি রেখা পরস্পর ছেদ করলে ছেদস্থানে বিন্দুর উৎপত্তি হয়। বিন্দু শূন্য মাত্রার। কেননা এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ,উচ্চতা কিছুই নেই শুধু অবস্থান আছে।
ইউক্লিডের স্বীকার্য এবং স্বতঃসিদ্ধ থেকে লক্ষণীয়:
- দুইটি বিন্দুর মধ্যদিয়ে একটি এবং কেবলমাত্র একটি সরলরেখা আঁকা যায়।
- দুইটি সরলরেখার পরস্পরকে একটি এবং কেবল মাত্র একটি বিন্দুতে ছেদ করতে পারে।
- দুইটি বিন্দুর মধ্যে সরলরেখার দূরত্বই ক্ষুদ্রতম।
No comments:
Post a Comment