আলোর ফোটন তত্ত্ব বা কোয়ান্টাম তত্ত্ব
১৯০০ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক এই তত্ত্ব প্রদান করেন এবং আইনস্টাইন তা সম্প্রসারণ করেন। প্ল্যাঙ্কের মতে, কোন বস্তু থেকে শক্তি নিরবচ্ছিন্নভাবে নিঃসৃত হয় না। শক্তি বা বিকিরণ গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে প্যাকেট বা কোয়ান্টাম হিসেবে নিঃসৃত হয়।
আলো বা যে কোন বিকিরণ অসংখ্য বিকিরণ কোয়ান্টার সমষ্টি। কেবল নিঃসরণ বা শোষণের সময় বিকিরণ বা শক্তি কণারূপে নির্গত বা শোষিত হয় কিন্তু একই স্থান থেকে অন্য স্থানে তরঙ্গ আকারে নিরবচ্ছিন্নভাবে সঞ্চালিত হয়।
১৯০৫ সালে আইনস্টাইন প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বকে সম্প্রসারিত করে বলেন, শুধু নিঃসরণ বা শোষণের সময়ই শক্তি গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে নির্গত হয় না বা কণারূপে নির্গত বা শোষিত হয় না, শক্তি যখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন স্থানান্তরিত হয় তখনও তা কণারূপে বিরাজ করে এবং এ কণাগুলো আলোর বেগে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছিন্নায়িতভাবে (গুচ্ছ গুচ্ছ আকারে) শক্তি সঞ্চালিত করে। বিজ্ঞানী লুইস ১৯১৬ সালে এই আলোক কণা বা কোয়ান্টার নাম দেন ফোটন ।
বিকিরণের কম্পাঙ্ক v হলে এই এক একটি ফোটনের শক্তি E = hv. আইনস্টাইন একটি তরঙ্গমুখ কোটি কোটি ফোটন দিয়ে গড়া বলে মনে করেন।
কোন উৎস থেকে নিঃসৃত শক্তি হবে E = nhv
যেখানে, n হচ্ছে একটি পূর্ণ সংখ্যা 1, 2, 3, ইত্যাদি।
সুতরাং কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারে কোন উৎস যে কোন মানের শক্তি বিকিরণ করতে পারে না, কতগুলো নির্দিষ্ট মানের শক্তিই যেমন hv, 2hv, 3hv কেবল নিঃসৃত হতে পারে।
** প্রিয় পাঠক আপনার কোন প্রশ্নের জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং পোস্টটি কেমন লেগেছে সেটিও জানাতে পারেন। যদি সাইটটি ভালো লাগে তবে Follow & Share করে রাখতে পারেন এবং যেকোনো এ-ড এর উপর ক্লিক করবেন আশা করি।
Tags: আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রবর্তক কে, আলোর ফোটন তত্ত্ব, বিসিএস প্রস্তুতি, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, bcs written preparation, math jiggasha bangla, আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর
No comments:
Post a Comment